◆এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে বরণ করে নিচ্ছেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি ও চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। আইএফএ অফিসে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : এই বাংলা থেকেই ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। বাংলার ভূমিপুত্র। অতীতকে ভুলতে চান না। আর ভুলতে চান না বলেই এআইএফএফ সভাপতি হওয়ার পর বাংলার ফুটবলের প্রসার ও প্রচার নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে।
সোমবার বিকেলে নিজেদের দফতরে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে সংবর্ধনা জানাল আইএফএ। তাঁর আগমনে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল আইএফএ অফিস। সেই অনুষ্ঠানে এসে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন ফেডারেশনের নব নিযুক্ত সভাপতি। তিনি বাংলার জেলার ফুটবলের উপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়ার কথা বললেন। বাংলা থেকে ফুটবলার তুলে আনতে হলে জেলা নিয়ে একটা লিগ করার প্রস্তাব দিলেন কল্যাণ। আইএফএ-এর পাশে সব সময় এআইএফএফ থাকবে বলে জানালেন তিনি।
কল্যাণ বলছিলেন, প্রতিটি জেলায় প্রায় ২০-৩০টি ক্লাব আছে। বেশ কিছু ক্লাবকে যদি একে অপরের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে সঠিক পরিকাঠামো করা যায়, তা হলে অনেক সুষ্ঠুভাবে লিগ করা যেতে পারে। বেশির ভাগ ফুটবলার উঠে আসে জেলা থেকে। সেটা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করতে হবে।জেলার লিগে কোনও বৈষম্য না রেখে ভারসাম্য রাখতে হবে।”
আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি এআইএফএফ সভাপতির কাছে সুষ্ঠুভাবে লিগ করার জন্য তিন মাসের সময় চেয়েছেন। আজিতবাবুর ব্যাখ্যা হল,” আমাদের ৩০০-র উপর ক্লাব রয়েছে। বছরে এক হাজারের বেশি ম্যাচ খেলা হয়। ভারতের আর অন্য কোনও রাজ্যে এত বড় ফুটবল লিগ হয় না। তিন মাসের একটা সময় যদি আমরা পাই, তা হলে লিগটা সম্পূর্ণ করতে পারব। বর্তমানে লিগ চলছে। এবার সুপার সিক্স শুরু হবে। কিন্তু নানান সমস্যা আছে। বড় সমস্যা মাঠ পাচ্ছি না। ফেডারেশন সভাপতির কাছে আমার অনুরোধ, তিন মাসের সময় দেওয়া হোক।” কল্যাণ চৌবে অবশ্য সময় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তর পরামর্শ, ফুটবলারদের ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কল্যাণ জানিয়েছেন, “সুব্রতদা, নির্বাচনের আগে আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমি ওঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। সুব্রতদার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। ফুটবলের উন্নয়নে তাঁর সক্রিয় সহযোগিতা চাইছি।” এছাড়াও আইএফএ সচিব অনির্বান দত্তর প্রশংসা করেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “আমি সভাপতি হওয়ার পর আইএফএ সচিব দিল্লি গিয়ে আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে এসেছিলেন। আমি মুগ্ধ।” এদিন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত ফেডারেশন সভাপতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ফুটবলের উন্নয়নে কল্যাণ বড় ভূমিকা নেবেন। উনি আইএফএ-এর পাশেই থাকবেন। ফুটবলের স্বার্থে আইএফএ সব সময় এআইএফএফের সঙ্গে চলবে।”
এদিন আইএফএ গভর্নিং বডির সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁকে দেওয়া হয় নানান স্মারক,উপহার।
একই দিনে সন্ধ্যায় নিজেদের তাঁবুতে কলকাতা রেফারি সংস্থার পক্ষ থেকেও কল্যাণকে সংবর্ধনা জানানো হয়। তিনি রেফারিদের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করছেন। ইতিমধ্যে তা ফিফার সুপ্রিমোকে সেই বার্তা দিয়েও এসেছেন। কদিন আগে কাতারে ফিফা সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন কল্যাণ। সেই বৈঠকে তিনি বলেছেন ভারত কবে বিশ্বকাপ খেলবে তিনি জানেন না। কিন্তু ভারতের যোগ্য রেফারিরা তো বড় টুর্নামেন্টে খেলাতে পারেন। ফিফা সভাপতি গুরুত্ব দিয়ে কল্যাণের বক্তব্য শুনেছেন। তাঁর দাবি, ফিফার রেফারি কমিটির প্রধান পিয়েরলুইগি কলিনাকে অনুরোধ করবেন, যাতে ভারতের রেফারিদের সঠিক ভাবে পরিচালনা করা হয়। তবে উনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন রেফারিদেরও ফুটবলারদের মতো ফিট থাকতে হবে।