ভারত: ২৪৪ ও ৩৬
অস্ট্রেলিয়া: ১৯১ ও ৯৩/২
৮ উইকেটে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, ১৯ ডিসেম্বর : লজ্জাজনক হার ভারতীয় ক্রিকেট দলের। অ্যাডিলেডে পিঙ্ক টেস্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে নাস্তানাবুদ ভারত। মাত্র ৩৬ রানে অল আউট বিরাট কোহলি বাহিনী। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বিদেশের মাঠে ব্যাট করতে গেলেই নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের পর যখন সবে ভাবা শুরু হয়েছিল, ভারতীয় বোলিংয়ের ভিত মজবুত হয়েছে। এবার ব্যাটটা একটু করলেই জয়ের কাছে পৌঁছে যাবে ভারত। ঠিক তখনই সব আশা, স্বপ্ন শেষ। অবাক করে দিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন-আপ। পূজারা, রাহানে, কোহলি, হনুমা বিহারীদের ক্লাব স্তরে নামিয়ে আনলেন প্যাট কামিন্স, হ্যাজেলউডরা। আর তাদের দাপটেই তৃতীয় দিনেই জয়ের হাসি মুখে নিয়ে গোলাপি টেস্ট জিতে মাঠ ছাড়ল অজি বাহিনী।
অতীতে মোট সাতটি পিঙ্ক টেস্ট খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রতি টেস্টেই জয়ী। আর অ্যাডিলেডেও সেই জয়ের ধারা বজায় রাখলেন অজিরা।
এই টেস্ট ম্যাচে জঘন্যভাবে পৃথ্বীরা ক্যাচ মিস করেছিলেন। জঘন্য ফিল্ডিং। বোলিংটাই যা ভাল হয়েছে উইকেট সবুজ থাকায়। কিন্তু সব থেকে ব্যর্থ ভারতের ব্যাটিং। এদিনের ব্যাটিং লাইন-আপে যেভাবে ধস নামল, তার জন্য গোটা দেশে নিন্দার ঝড় বইছে। এরপরও যদি নতুন করে টেস্টে বিরাট কোহলির (Virat Kohli) নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন না ওঠে তাহলে অবাক হতেই হবে।
মহম্মদ শামি চোট পেলেন। যা ভারতীয় শিবিরে বড় ধাক্কা। ব্যাট করতে নেমে সোজা ডান হাতে বল এসে লাগে তাঁর। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে যখন মাঠ ছাড়ছেন তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে লজ্জার ৩৬ রান। ভাবা যায়! অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ৯০ রান। যা দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
লাবুশান (৬) ও ওয়েড (৩৩) রান করে আউট হন। অর্ধ শতরান (৫১*) করেন জো বার্নস। এদিকে, ভারতের এই লজ্জাজনক হারের পর গোটা দেশে বিরাটদের সমালোচনা চলছে।