◆চ্যাম্পিয়ন টিমের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দিচ্ছেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য অভিষেক ডালমিয়া◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : অভিষেক ডালমিয়ার অভিনব উদ্যোগে হয়ে গেল ৫ জেলা নিয়ে টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এই টুর্নামেন্টের পোষাকী নাম এনসিসি আন্তঃজেলা সিনিয়র টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগরে ফাইনালে সম্মিলিত একাদশকে ২ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল আলিপুরদুয়ার।

কোভিডের সময়ও সিএববির তৎকালীন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া প্রতিকূলতার মধ্যেও সেই ভাবে কাজের সুযোগ না পেলেও তারমধ্যেও ক্লাব ক্রিকেট,সিএবি লিগ,জেলা ক্রিকেট করেছিলেন। তাঁর একটাই উদ্দেশ্য ছিল,ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানো। সেই একই উদ্দেশ্য নিয়ে অভিষেক ডালমিয়া ৫ জেলা দলকে নিয়ে করে ফেললেন টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।

প্রসঙ্গত, যে সমস্ত জেলা এখনও সিএবির অ্যাফিলেটেড ইউনিট নয়, সেই সব জেলার ক্রিকেটাররা সিএবির ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায় না (আলিপুরদুয়ার,দার্জিলিং,কালিমপং,পূর্বমেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম) তাদের সামনে খেলার সুযোগ তৈরি করে দিতেই এনসিসি(ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাব)-এর হাত ধরে অভিনব উদ্যোগ নিয়ে সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেন অভিষেক ডালমিয়া। সঙ্গে সহায়তা করেছে ক্রিকেট দর্পন। এই পাঁচটি জেলার সঙ্গে সম্মিলিত (কমবাইন্ড) একাদশ অর্থাৎ মোট ৬টি দল নিয়ে এই টুর্নামেন্ট হয় আলিপুরদুয়ার,হলদিয়া এবং অশোকনগরে। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় অশোকনগরে।

বুধবার ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন সিএবির প্রাক্তন সভাপতি ও বর্তমান আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল সদস্য অভিষেক ডালমিয়া। তিনি জানান,”ক্রিকেটারদের ম্যাচ প্র্যাকটিশের কোনও বিকল্প হয় না। যে সমস্ত জেলা রাজ্যের সর্বোচ্চ স্তরে খেলার সুযোগ পায়না তাদের একটা প্ল্যাটফর্ম দেওয়াটায় এনসিসির মূল লক্ষ্য। এভাবেই বেশ কিছু প্রতিভা উঠে আসবে। এবারের এই টুর্নামেন্টে যারা নজর কেড়েছে তাদের ট্রেনিং দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এনসিসি। এটা ভাল ইতিবাচক দিক। এনসিসির সঙ্গে ক্রিকেট দর্পনকেও ধন্যবাদ জানাই।”

এনসিসি’র সভাপতি পবন ভালোটিয়া জানান,”এই টুর্নামেন্ট করার ক্ষেত্রে অভিষেক ডালমিয়ার বড় ভুমিকা আছে। আসলে আমরা চাই যে সমস্ত জেলার ক্রিকেটাররা সুযোগ পায় না, তাদের সামনে খেলার সুযোগ করে দিতেই এই প্রয়াস। সামনের বছর থেকে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের নিয়েও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট করবে এনসি”

ফাইনালে সম্মিলিত একাদশ ১০৯ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে আলিপুরদুয়ার নির্ধারিত ২০ ওভারে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ২ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় আলিপুরদুয়ার। ম্যাচের সেরা হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ভরত নাগ। এই জেলারই শুভদীপ শর্মা সেরা ব্যাটারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। টুর্নামেন্টের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন ঝাড়গ্রামের ফুর্গেল হেমব্রম।