অভিনব উদ‍্যোগ ইউনাইটেড স্পোর্টসের, উপকৃত জেলার কোচেরা

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : শিক্ষক যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে ছাত্ররা যথার্থ শিক্ষা পাবে কি করে? বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে জেলার ফুটবলকে আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তারও আগে জেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রতিভাবান ফুটবলারদের সুষ্ঠুভাবে অ, আ, ক, খ, শিখতে হলে যোগ‍্য কোচের প্রয়োজন। এই চিন্তা ভাবনা করেই অভিনব উদ‍্যোগ নিয়েছে কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশনের ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। মূলত এই ক্লাবের ডিরেক্টর নবাব ভট্টাচার্যর উদ‍্যোগেই বিভিন্ন জেলার কোচেদের নিয়ে তিনদিনের সেমিনার হয়ে গেল কল‍্যাণীতে।

গত ১৩ মে মঙ্গলবার,এই সেমিনার শুরু হয়ে আজ,শুক্রবার শেষ হল। এই ধরনের উদ‍্যোগ কেন? ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের ডিরেক্টর নবাব ভট্টাচার্য জানান, নিজেদের অ্যাকাডেমিকে একটি কমন সেন্ট্রালাইজড কোচিং প্রোগ্রাম এর আওতায় আনা এবং আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রাসরুট ডেভলপমেন্ট করা ছিল উক্ত অনুষ্ঠান এর উদ্দেশ্য। এবং অবশ‍্যই সেমিনারের মাধ‍্যমে জেলার কোচেদের পাশে দাঁড়ানো। নবাব ভট্টাচার্যের এমন অভিনব উদ‍্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়ে এই প্রকল্পে যোগ দিয়েছিলেন পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান,নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ২৪ পরগনা ,বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম – সব মিলিয়ে ১১ টি জেলার প্রায় ১২ টি অ্যাকাডেমির ২৩ জন কোচ অংশগ্রহন করেছিলেন।


আগামী দিনের সঠিক ট্রেনিং এর দিক নির্দেশ, মহিলা ফুটবলের উন্নতি, ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট ও রিহ্যাব , বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের সঠিক ট্রেনিং পদ্ধতি এবং আরও নানা বিষয়ে এই সেমিনারে আলোকপাত করলেন ইউনাইটেড স্পোর্টসের চিফ কোচ স্টিভ হার্বর্টস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য সার্টিফায়েড কোচ এবং মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা। এমন একটা উদ‍্যোগে সামিল হয়েছিলেন ফুটবলার লালকমল ভৌমিক, মহম্মদ রফিক এবং কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান ড: নিলীমেশ রায়চৌধুরী। সেমিনারের শেষে প্রত‍্যেক কোচের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এই সেমিনার আয়োজনে ইউনাটেড স্পোর্টস ক্লাবকের পাশে ছিল কল‍্যাণী পৌরসভা।

ফুটবল ট্রেনিংয়ের অত‍্যাধনিক ইকুয়েপমেন্ট

এদিন সেমিনারের পাশাপাশি ইউনাইটেড স্পোর্টসের ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে যে অর্থ জমা হয়েছিল,সেই টাকা দিয়ে কেনা হল ফুটবল ট্রেনিংয়ের অত‍্যাধনিক যন্ত্রপাতি।

কোচেদের সেমিনারের ফাঁকে কল‍্যাণী পৌরসভার চেয়ারম‍্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,নিজেদের ক্লাবের খুদে ফুটবলারদের জন‍্য অত‍্যাধনিক ইকুইপমেন্ট কেনার জন‍্য সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায‍্য চেয়ে আবেদন করেছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের অন‍্যতম কর্তা নবাব (সিদ্ধার্থ) ভট্টাচার্য। তবে আর্থিক সাহায‍্য চাওয়াটা বিল বই ছাপিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে নয়। ‘মিল‍্যাপ’ বলে এক সংস্থার মাধ‍্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাঁদা নেওয়ার হয়েছে। পুরোটাই অন লাইন ট্রানজাকশন। যার নাম “ক্রাউড ফান্ডিং”। এখন বিদেশে ছোট,বড় অনেক সংস্থা, ক্লাব আছে, যারা ‘মিল‍্যাপ’-এর মতো একাধিক সংস্থার মাধ‍্যমে আর্থিক সাহায‍্য নিয়ে চলছে। শিক্ষা,মেডিক‍্যাল,স্পোর্টস নিয়ে বেশি কাজ করে সংস্থাগুলি। প্রসঙ্গত, ইউনাইটেড স্পোর্টসের কর্তা নবাব ভট্টাচার্যর হাত ধরে এই প্রথম ভারতীয় ফুটবলে “ক্রাউড ফান্ডিং” সফল হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here