‘
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ‘অপমানিত’ ঋদ্ধিমান সাহা বাংলার হয়ে আর খেলতে চান না। যেভাবে তাকে রাজ্য ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা সিএবির কতিপয় কর্তা তাঁকে অপমান করেছেন তা মানতে পারছেন না ঋদ্ধিমান। কি এমন ঘটল যে ঋদ্ধিমান অপমানিত হলেন? মঙ্গলবার রঞ্জি ট্রফির জন্য বাংলার দল নির্বাচনে ঋদ্ধিমান ও মহম্মদ সামিকে দলে রাখা হয়েছে। তাঁদেরকে রেখেই রঞ্জি দল গড়ার আগে সামির সঙ্গে সিএবি কর্তরা ফোনে কথা বলে নিলেও,ঋদ্ধিমানকে ফোন করে কোনও মতামত জানতে চাওয়া হয়নি। অপমানিত ঋদ্বিমান সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে NOC চেয়েছেন। তাই নিয়ে ময়দানে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস আবার বাংলা দলে ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বেশ কিছুদিন আগে। প্রসঙ্গত, ঋদ্ধিমানের মত ভদ্র,ঠান্ডা মাথার ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে দেবব্রত এমন মন্তব্য করার সাহস নেই। সিএবির একটি সূত্র বলছে, দেবব্রত সব সময় অভিষেক ডালমিয়াসহ উপর মহল কর্তাদের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে ভালবাসেন। তিনি যুগ্মসচিবের পদে থাকলেও সিএবি বা ক্লাব কর্তাদের কাছে কর্তা দেবব্রতর সেই ‘ওজন’টা নেই। ঋদ্ধির বিরুদ্ধে সিএবির কোনও গুরুত্বপূর্ণ কর্তা দেবব্রতকে দিয়ে বলানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
কোচ রাহুল দ্রাবিড় যখন তাঁকে জানিয়েছিলেন,ভারতীয় দলে তাঁকে আর প্রয়োজন নেই তখন সেই ঘটনা ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন সেই কথা। এমনও তিনি দাবি করেছিলেন,সৌরভ গাঙ্গুলি নাকি তাঁকে বলেছিলেন,তিনি যতদিন বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকবেন ততদিন ঋদ্ধিমান খেলবেন। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি প্রতিবাদ করে বলেছিলেন,”ঋদ্ধির সঙ্গে মহারাজের ব্যক্তিগত ফোনালাপ প্রকাশ্যে এনে ঋদ্ধি ঠিক কাজ করেনি।” রাহুল দ্রাবিড়ের ওই সিদ্ধান্ত প্রকাশে আসার পর সিএবি কর্তারা বাংলার ঋদ্ধিমানকে সহানুভূতি জানায়নি। বরং বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।
ঙ্গলবার বিকেল থেকে ময়দানে ক্রমশ জোরালভাবে ঘুরছে । সিএবিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ঋদ্ধিমান সাহা মৌখিকভাবে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছেন । যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিএবির তরফে কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘একজন খেলোয়াড় এবং সংস্থার মধ্যে হওয়া যে কোনও আলোচনা বাইরে না আসাই বাঞ্ছনীয় ৷ আমি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
ঋদ্ধি নিজে না মুখ খুললেও তাঁর স্ত্রী রোমি সাহা জানিয়েছেন,”দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঋদ্বি বাংলার হয়ে খেলছে। তারপরও যদি তাকে কেঊ দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভাল লাগে? এত অপমানের পরও বাংলার হয়ে খেলা সম্ভব? আজ যদি কোনও ক্রিকেটার সিএবির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রপ্ন তুলতেন,তাকে কি সিএবি ছেড়ে দিত? আবার দেখুন দল গড়ার আগে সামিকে ফোন করে তাঁর মতামত জেনেছে। অথচ সিএবির কোনও কর্তা ঋদ্ধিকে ফোন করে তার মতামত জানতে চাওয়া হয়নি। পুরো ঘটনা আমাদেরকে প্রচন্ডভাবে আঘাত করেছে।”