◆চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি নিয়ে উল্লাস হুগলি জেলার ফুটবলারদের◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : অনূর্ধ্ব-১২ আন্তঃজেলা ফুটবলে সেরার খেতাব পেয়ে গেল হুগলি জেলা দল। রবিবার মালদহ শহরের স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে নদীয়া জেলা দলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল হুগলি। ম্যাচের নির্ধারিত সময় কোনও দলই গোল করতে পারেনি। টাইব্রেকারে জয় ছিনিয়ে নেয় হুগলি। ম্যাচের সেরা হয়েছে হুগলির গোলরক্ষক মোহিত সরকার।
এবারের জেলা স্তরের ফুটবলকে বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে আইএফএ। রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। অনূর্ধ্ব-১২ ও অনূর্ধ্ব-১৭ – এই দুটি আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য রাজ্য সরকার ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে আইএফএ থেকে বিভিন্ন জেলা খুশি।
রবিবার অনূর্ধ্ব-১২ আন্তঃজেলা ফুটবলের ফাইনালে মালদহে পৌঁছে গিয়েছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে সারাক্ষণ মাঠে থেকে খুদে ফুটবলারদের উৎসাহ দিয়ে গেলেন আইএফএ সচিব। তিনি জানান,”মালদহ শহরে একটা সময় ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিল। খুব ভাল ভাল টুর্নামেন্ট হত। এখানে এসে বুঝলাম, এই শহরের মানুষ এখনও ফুটবলকে আগের মতোই ভালবাসে। আমরা চাইব, মালদহে আরও ভাল ফুটবল টুর্নামেন্ট হোক। এই গরমে মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা যেভাবে ম্যাচ পরিচালনা করেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর নেতৃত্বে ফুটবলারদের থাকা,খাওয়ার এমনকি এই গরমে যাতে ফুটবলাররা সুস্থ থেকে মাঠে নামতে পারে তার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিলেন। কদিন ধরে মালদহে থেকে টুর্নামেন্ট তদারকি করেছেন আইএফএ সহসভাপতি বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি।
মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান,”আমাদের জেলায় ফুটবলের জনপ্রিয়তা আগেও ছিল,এখনও আছে। জেলার ফুটবলের সোনালী অধ্যায় ফিরিয়ে আনতে হলে শর্টকাটে কিছু হবে না। তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনতে হবে। আমার ইচ্ছে আছে জেলার বিভিন্ন সাবডিভিশন থেকে স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট করা। স্কুলে ফুটবল চর্চা না হলে বাংলার ফুটবল এগোবে না। আমরা খুশি হয়েছি আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত নিজে এসে টুর্নামেন্ট দেখে গেলেন,ফুটবলারদের উৎসাহ দিলেন। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই রাজ্য সরকারকেও।” ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী প্রাক্তন ফুটবল কোচ মৃদুল ব্যানার্জি। চ্যাম্পিয়ন দল ৫০ হাজার ও রানার্স দল ৩০ হাজার টাকার পুরস্কার পেয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফাইনাল পযর্ন্ত প্রত্যেক ম্যাচের সেরাদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।